প্রশিক্ষনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল- ________________________
খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমঃ
এটি একটি এ্যাপ/ওয়েব/অনলাইন ভিত্তিক সুরক্ষিত প্লাটফরম যেখানে কৃষক / চালকল মালিকগণ ঘরে বসেই ধান - চাল জমা দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। অধিকন্তু, আবেদনপত্র মঞ্জুরসহ সিএসডি/এলএসডি তে ধান - চাল জমা দেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে SMS মেসেজের মাধ্যমে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ সিস্টেমের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর চলতি মৌসুমের যে কোন অবস্থায় দেশব্যাপী সিএসডি/এলএসডি তে জমাকৃত ধানের - চালের পরিমাণ এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে ঘাটতির পরিমাণ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে দেখতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে সিস্টেম কর্তৃক জাতীয় ক্রয় লক্ষ্যমাত্রাকে বিভাজন করে প্রত্যেক কৃষক / চালকল মালিক থেকে ধান - চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ভুলভাবে নির্ণয় করার সুবিধা। আশা করা যায় এ সিস্টেমটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করা গেলে খাদ্যবান্ধব দেশ হিসেবে আমরা আরো এগিয়ে যাব।
--- এটি কিভাবে কাজ করে?
সেবা নেওয়ার জন্য কৃষক / চালকল মালিককে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয় - নিবন্ধন --> EoI দাখিল --> চুক্তিবদ্ধ হওয়া --> ধান - চাল সরবরাহ। মৌসুমের শুরুতেই জেলা খাদ্য অফিস থেকে SMS এর মাধ্যমে কৃষক / চালকল মালিককে অবহিত করা হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কৃষক / চালকল মালিক উপজেলা খাদ্য অফিসে EoI দাখিল করবেন। যাচাই-বাছাই করে তা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে জেলা খাদ্য অফিসে পাঠানো হবে। জেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক চূড়ান্ত ভাবে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে কৃষক / চালকল মালিককে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য অবহিত করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী কৃষক / চালকল মালিককে নির্দিষ্ট সিএসডি/এলএসডি তে কিস্তিতে ধান - চাল জমা দিতে হবে। সিএসডি/এলএসডি থেকে ধান - চাল জমাদানের তথ্য সিস্টেমে আপডেট করা হবে। ফলে খাদ্য অধিদপ্তর ধান - চাল সংগ্রহের প্রকৃত চিত্র যে কোন সময় দেখতে পারবেন।
--- কৃষক / চালকল মালিক কিভাবে উপকৃত হবেন?
ঘরে বসেই নিবন্ধন এবং EoI আবেদন দাখিল করতে পারবেন
গুদামে ধান - চাল জমা দেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে SMS বার্তা পাবেন
সিস্টেম কর্তৃক জাতীয় ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নিখুঁতভাবে কৃষক / চালকল মালিক পর্যন্ত বিভাজনের সুবিধা
EoI দাখিল থেকে ধান - চাল জমাদান পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য ও অবস্থা ওয়েব/SMS এর মাধ্যমে জানা যাবে
ন্যুনতম সংখ্যক ভিজিটের মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তির বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন
বিদ্যমান ম্যানুয়াল পদ্ধতির জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তি পাবেন
ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের করনীয়ঃ
সরকারের উদ্দেশ্য হল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া...সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার...আর এই সেন্টারটি হল একবারেই প্রান্তিক জনগনের দোরগোড়ায়....কৃষকরা যেখানে আজও মোবাইলে কল দিতে পারে না ভালভাবে সেখানে এত সহজে এ্যাপস কিংবা ওয়েসাইট ব্যবহার করে শস্য বিক্রয় করা সম্ভবপর নয়। তাই তারা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ইউডিসিতে আসবে এবং ইউডিসি উদ্যোক্তা যে কোন একটি সিস্টেম ব্যবহার করে তার (কৃষকের) নিবন্ধন করে দেবেন। পরবর্তিতে তার মোবাইলে টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে, তা তিনি কারও সহায়তায় দেখিয়ে নেবেন।
খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমঃ http://fps.dgfood.gov.bd/fps/
কৃষকের অ্যাপ
Google Play Store
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস