কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান লক্ষ্যগুলো হচ্ছে
কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রশাসন, অর্থ এবং সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান নির্বাহি হিসেবে রয়েছেন একজন পরিচালক। বিভাগের ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার দায়িত্ব পালনে তাঁকে সহযোগিতা করেন একজন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, একজন উপ-পরিচালক (গণসংযোগ) এবং কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। এ ছাড়া বিভিন্ন শাখা দেখাশুনা করেন একজন করে প্রেস ম্যানেজার, সম্পাদক, Audio-visual Artist, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ অফিসার এবং Film Production Officer। বর্তমানে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সাতটি আঞ্চলিক কার্যালয় চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা এবং খুলনায় অবস্থিত। এ সংস্থায় ষোল জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৮৯ জন কর্মচারী কর্মরত আছে।
বাংলাদেশ সরকারের কেবিনেট ডিভিশনের এক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৫ সালে কৃষি তথ্য সার্ভিস দফতরের কিছু রদবদল হয়। এতে কৃষি তথ্য সার্ভিসকে দ্বিধাবিভক্ত করে এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সরঞ্জাম পশুসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বন অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১৫টি সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সেবাদান করছে। এ ছাড়া কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কতক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করে থাকে।
বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষি তথ্য সার্ভিস চাষাবাদের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রধানত সম্প্রসারণ কর্মীদের কাছে, অতঃপর কৃষকের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত মাসিক সাময়িকী কৃষি কথা এবং সম্প্রসারণ নিউজলেটার সম্প্রসারণ বার্তা প্রকাশ; শিক্ষা ও তথ্যমূলক সামগ্রী তৈরি; রেডিও-টিভির মাধ্যমে চাষাবাদের ওপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার (যেমন: বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মাটি ও মানুষ’ এবং বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত ‘সোনালী ফসল’, ‘দেশ আমার মাটি আমার’ ও একই ধরনের অন্যান্য অনুষ্ঠান) এবং তথ্য চলচ্চিত্র, ভিডিও ফিল্ম, ‘টকি’, পোস্টার ও স্লাইড নির্মাণ। এ ছাড়াও কৃষি তথ্য সার্ভিস জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে তথ্য যোগাযোগের ওপর সংক্ষিপ্ত ও নিবিড় প্রশিক্ষণ কোর্স ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। সম্প্রতি সরকার ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস শক্তিশালীকরণ’ শিরোনামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এ প্রকল্পের অধীনে বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী ও রাঙ্গামাটিতে নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কৃষি প্রযুক্তি সংক্রান্ত তথ্যের যোগান দিয়ে ২০০২ সালের জুন মাসের মধ্যে গ্রামীণ কৃষক পরিবারে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস