Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
অনলাইনে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি, বিল পরিশোধ ও গ্রামীণ উৎপাদনকারীর পণ্য শহরের ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম ‘একপে’, ‘একসেবা’ ও ‘একশপ’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল।
বিস্তারিত

আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের আওতায় আপাতত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এবং নয়টি পৌরসভায় এসব নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে সারা দেশে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ রোববার সকালে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এ তিন সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতিতে নাগরিক সেবার এই কার্যক্রম চালু হওয়ায় ওই ১০ এলাকার নাগরিকরা অনলাইনে মিউনিসিপালিটি/সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবা পাওয়ার পাশাপাশি হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিভিন্ন সরকারি সেবার বিল দিতে পারবেন।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ছাড়াও ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নাটোর, ঝিনাইদহ, টুঙ্গিপাড়া, পীরগঞ্জ, সিংড়া, তারাব ও রামগতি পৌরসভায় আপাতত এ কর্মসূচি চলবে।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের আইসিটি ইন্ডিকেটর ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সের সেরা ৫০ এর মধ্যে আসতে চাই আমরা। ( এখন বংলাদেশের অবস্থান ১৯৩ দেশের মধ্যে ১১৫ তম) । আগামী ২০২১ সালের মধ্যে নাগরিক সেবার প্রায় সবগুলো আমরা জনগণের আঙুলের ছোঁয়ায় আনব।”

তিনি বলেন, “গত ক’বছরে আমরা (ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সে) ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী ৫ বছরে আমরা কেন আরও ৫০ ধাপ এগোব না?”

একই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশের ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্টেরও মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই ‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’ রিপোর্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

 

সজীব ওয়াজেদ বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা আইসিটির ভিত্তিগুলো নির্মাণ করেছি, তাই ১০ বছর লেগেছে ই গভার্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করতে। আমাদের দেশ তো প্রযুক্তির দিক থেকে পেছনে পড়েছিল। সেখান থেকে এ উত্তরণের পথে আসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল অনেকের। আমরা তাদের মিথ্যা প্রমাণিত করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা।”

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও  বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

একসেবা

এক ঠিকানায় সব সরকারি সেবার মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে ‘একসেবা’ প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ১৬২টি সরকারি সেবা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার সেবা এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

অনলাইনে সেবার জন্য আবেদন দাখিল ও সেবা প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায় ‘এক সেবা’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সরকার আশা করছে।  

এর মাধ্যমে যে কোনো সেবাপ্রত্যাশী সেবার জন্য আবেদন দাখিল এবং অনলাইনে ফি পরিশোধ করে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনলাইনেই ট্র্যাক করতে পারবেন পারবেন।  

একপে

এক ঠিকানায় সব ধরনের সরকারি সেবার বিল পরিশোধের সুবিধা নিয়ে এসেছে ‘এক-পে’।

ইউটিলিটি বিল, শিক্ষাসংক্রান্ত ফি ও অন্যান্য সকল ধরনের ফি সহজে এবং ঝামেলাহীনভাবে দেওয়ার ‘ওয়ান-স্টপ পেমেন্ট’ প্লাটফর্ম এটি।

এক-পে ওয়েব সাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যে কেউ তাদের ইউটিলিটি বিল দিতে পারবেন। যে কোনো সময় ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ব্যাংকের শাখা, ডিজিটাল সেন্টার বা যেকোনো এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এই বিল দেওয়া যাবে।

এর ফলে একেক প্রতিষ্ঠানের বিল দেওয়ার জন্য একেক পদ্ধতি বা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে ঘুরতে হবে না। নাগরিকরা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই বিল পরিশোধ করতে পারবেন।

একশপ

সহজে ও দ্রুত সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এটুআই-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম রুরাল এসিস্টেড ই-কমার্স প্লাটফর্ম হল ‘একশপ’।

 

 

একশপের মাধ্যমে সহজেই পণ্য কেনা বা বিক্রি করা যাবে। গ্রামীণ উৎপাদনকারীর তাদের পণ্যের তথ্য আপলোড করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির ক্রেতারা সেসব পণ্য কিনতে পারবেন।

 

একশপে ১০ লাখের বেশি প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ওষুধ, বই, পোশাকও বিক্রি করা হবে এবং তা পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের যে কোনো প্রান্তে। দেশের চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে একশপের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করা যাবে।

ই-কমার্ম কোম্পানি, লজিস্টিকস কোম্পানি, পোস্ট অফিস, পেমেন্ট সুবিধা, ইউডিসি নেটওয়ার্কের মধ্যে সমন্বয় করে তৈরি হয়েছে একশপ প্ল্যাটফর্ম।

এতে একদিকে যেমন প্রান্তিক উৎপাদনকারীর পণ্য প্রায় ২৫ লাখ ই-কমার্স গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ হবে, তেমনি শহরের মানুষও ঘরে বসে গ্রামের পণ্য কিনতে পারবেন সরাসরি।

উৎপাদনকারীরা একশপের মাধ্যমে বিদেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মেও পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। শিগগিরই মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে একশপের কার্যক্রম চালু হবে এবং ভবিষ্যতে ২৩টি দেশে এর সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে এটুআই কর্মকর্তারা জানান।

এটুআইয়ের আরেকটি উদ্যোগ '৩৩৩' কিছুদিন আগে "গভইনসাইডার ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯”-এর 'বেস্ট সিটিজেন এনগেজমেন্ট প্রজেক্ট' হিসেবে পুরস্কার জিতে নেয় ।

অনুষ্ঠানে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন এটু্‌আইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।

এরপর ‘ডব্লিউআইটিএসএ গ্লোবাল আইটিসি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। 

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব ‘ডিসিডি এপিএসি অ্যাওয়ার্ড’ ২০১৯ উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর মাঝে ১০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন সজীব ওয়াজেদ।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
14/10/2019
আর্কাইভ তারিখ
01/01/2022